product images
আমার দেখা নয়াচীন
by বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

Tk. 386 Tk. 400 Save TK. 14 (4%)

আমার দেখা নয়াচীন (হার্ডকভার)

Author : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
Category : বিবিধ বই
Publisher : বাংলা একাডেমি
Price : Tk. 386 Tk. 400 You Save TK. 14 (4%)

সারাদেশে হোম ডেলিভারি চার্জ মাত্র ৭০ টাকা # ১৪৯৯+ টাকার বই অর্ডার করলেই পাচ্ছেন ফ্রি হোম ডেলিভারি !

বি:দ্র: গ্রাহক বইটি অর্ডার সম্পূর্ণ করার পরে যদি নতুন সংস্করণের মূল্য পরিবর্তন হয় তাহলে বইটি পাঠানোর আগে আপনাকে আমাদের টিম ফোন করে জানিয়ে দিবে ।

Order Now

Services & Supports


Cash On Delivery
3 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
Purchase & Earn
Order Now

সারাদেশে হোম ডেলিভারি চার্জ মাত্র ৭০ টাকা # ১৪৯৯+ টাকার বই অর্ডার করলেই পাচ্ছেন ফ্রি হোম ডেলিভারি !

বি:দ্র: গ্রাহক বইটি অর্ডার সম্পূর্ণ করার পরে যদি নতুন সংস্করণের মূল্য পরিবর্তন হয় তাহলে বইটি পাঠানোর আগে আপনাকে আমাদের টিম ফোন করে জানিয়ে দিবে ।


১৯৫২ সালে চীনের পিকিং এ অনুষ্ঠিত এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে। তাঁর এই চীন ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য এই শান্তি সম্মেলন হলেও, এর পাশাপাশি তিনি সে দেশের মানুষের জীবনের সামগ্রিক অবস্থা উপলব্ধি করার জন্য আরও বাড়তি কিছুদিন চীনে থেকে গেছেন। সেই সর্বমোট ২৫ দিনের স্মৃতি নিয়ে রচনা করেছেন এই ভ্রমণকাহিনী।

বঙ্গবন্ধুকে সফর করতে হয়েছে রেঙ্গুন, হংকং, পিকিং, তিয়ানজিং, সাংহাই - প্রভৃতি শহরের মধ্য দিয়ে। ১৯৪৯ এর ১লা অক্টোবর চীনে কম্যুনিস্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর, তাদের শাসন সম্পর্কে যে সব নেতিবাচক কথাবার্তা কানে এসেছিলো, সেগুলোই যাচাই করে দেখতে চেয়েছেন তিনি।

প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর শান্তি সম্মেলনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা যাক। মোট ৩৭ দেশের প্রতিনিধির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সম্মেলনটি একটি কম্যুনিস্ট দেশে হলেও, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নন-কম্যুনিস্ট ঘরনার মানুষই ছিলেন বেশি। তবুও শান্তি সম্মেলন শেষ হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবেই, কারণ সবার মূল কথা এক - সবাই শান্তি চায়, কেউ যুদ্ধ চায় না।

বঙ্গবন্ধু দেখতে চেয়েছেন মানুষের জীবনযাত্রার মান কেমন, জিনিসপত্রের দাম কেমন, কৃষক-শ্রমিক - সাধারণ মানুষ কিভাবে থাকছে, শিক্ষা-কৃষি-শিল্প-বাণিজ্য কেমন চালাচ্ছে দেশের নতুন প্রশাসন, ধর্মীয় ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক আরোপিত কোনো বিধিনিষেধ রয়েছে কিনা - ইত্যাদি। আর এজন্য তিনি চীনের স্থানীয় বাজার, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট, মুদিদোকান, কলকারখানা, কৃষক-শ্রমিকের বাসস্থান - সবখানেই ঢু মেরেছেন এবং সাধারণ মানুষের সাথে মিশে সরকার সম্পর্কে তাদের মনোভাব জানার চেষ্টা করেছেন। চীনের তৎকালীন আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থার বর্ণনার সাথে সাথে দিয়েছেন পাকিস্তানের তৎকালীন অবস্থার তুলনামূলক বর্ণনা।

তৎকালীন চীন এবং পাকিস্তানের সরকারি সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতনের একটা তুলনামূলক বর্ণনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। "৬০ কোটি লোকের বিরাট দেশের প্রধান কর্মকর্তা মাও সে তুং আমাদের টাকার ৫০০শত টাকা মাসে গ্রহণ করে থাকেন। নিচে ৫০ আর উপরে ৫০০ টাকার বেশি কেউ গ্রহণ করতে পারে না, আর যাতে ৫০ টাকায় সংসার চলে তার বন্দোবস্ত সরকার করে থাকেন। আমাদের দেশের সকলের চেয়ে বড় রাষ্ট্রপতি বেতন পান মাসে ১২০০০টাকা। আর সকলের ছোট কর্মচারী বেতন পায় ২০/২৫টাকা। এর মধ্যে আবার জিনিসপত্রের দামের স্থিরতা নাই।"

বঙ্গবন্ধু বার বার লক্ষ্য করেছেন চীনের সাধারণ জনগন থেকে সর্বোচ্চ নেতা পর্যন্ত - সবার মধ্যেকার দেশপ্রেমের তীব্রতা। অনেক ভালো ইংরেজি জানা সত্ত্বেও সেখানকার নেতারা কেউ বিদেশিদের সাথে কথা বলার সময় ইংরেজি বলেন না, নিজের মাতৃভাষায় কথা বলে দোভাষীর মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করেন।দোভাষী ভুল করলে বরং তাদের শুধরে দিতে দেখা গেছে কয়েকবার। আরেকটা বিষয় হচ্ছে চীনাদের জাতীয়তাবোধ; দেখা গেছে যেসব পণ্য তারা নিজের উৎপাদন করতে পারে না, সেসব তারা ব্যবহারও করে না।

কিভাবে চীনের কৃষকরা ৩বছরে সাবলম্বী হয়ে উঠলো, ঘুষ-দুর্নীতি, ডাকাতি কিভাবে দূর হলো, কিভাবে চীনাদের আফিমের নেশা কাটলো, ভিক্ষাবৃত্তি নির্মুল হলো কিভাবে, কিভাবে পতিতারা ফিরে এলো সমাজের মূল ধারায়, নারী-পুরুষে আসলো সমতা, হোয়াংহো কিভাবে হয়ে উঠলো চীনের দুঃখ থেকে আশীর্বাদ - সব উঠে এসেছে বিস্তারিতভাবে।

সবশেষে যেটা না বললেই না, পুরো লেখনীতে চীনের নতুন সরকার তথা কম্যুনিস্ট সরকারের প্রশংসা করলেও, কম্যুনিস্টরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মত প্রকাশের রাস্তা রুদ্ধ করে দেয়ার বিষয়টা বঙ্গবন্ধু পছন্দ করেননি। তবে চীন যে খুব দ্রুতই বিশ্বের একটা পরাশক্তিতে পরিণত হতে যাচ্ছে গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণে তিনি তা তখনই বুঝতে পেরেছিলেন, আজ আমরা তারই বাস্তব রূপ দেখতে পাচ্ছি।

মূল রচনা মোটামুটি ১০৭ পৃষ্ঠা। আমি খুবই অবাক হয়েছি এটা দেখে যে, ১৯৫২ সালের এই ভ্রমণের কাহিনী তিনি লিখেছেন ২বছর পর ১৯৫৪ সালে কারাগারে রাজবন্দী থাকা কালে, তাও মাত্র আড়াই পৃষ্ঠার খাতার নোটকে পুঁজি করে! কতটা প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী হলে একজন মানুষের পক্ষে ২বছর পরও সব ঘটনা এত বিস্তারিতভাবে মনে রাখা সম্ভব!

এই বইয়ের শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবণী এবং চীন ভ্রমণের বিভিন্ন সময়ের ছবিগুলোর সংযোজন বইটিকে করেছে আরও বেশি সমৃদ্ধ। আর টীকার সংযোজনী পাঠকের জন্য খুবই উপকারী হবে।একজন পেশাদার লেখক না হয়েও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব কিছু এতটাই সবলীল এবং প্রাঞ্জলভাবে তুলে ধরেছেন যে, মনে হচ্ছে সব যেনো নিজের চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধু তার স্বভাবসুলভ রসিকতা করেছেন তাঁ্র সফরসঙ্গীদের সাথে। খুব সাধারণভাবে মিশেছেন চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী আর স্কুলের বাচ্চাদের সাথেও।
ঘটনার বর্ণনায় দেখা গেছে, চীনের এক সেলুন থেকে চুল কেটেছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেই নাপিত বঙ্গবন্ধুর অটোগ্রাফ নিয়ে রেখেছে, তিনি বার বার নিজেকে কোনো বড় নেতা নন - বলা সত্ত্বেও! তাঁর অটোগ্রাফ রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সেই দল, যাদের সাথে তিনি নিজের নৌকার বৈঠা বেয়ে ঘুরেছেন কিছুক্ষণ। আর তাঁর নিজের হাতের আংটি উপহার পেয়েছে, চীনের এক সদ্য বিবাহিত শ্রমিক দম্পতি। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছিলো - যে সাধারণ বঙ্গবন্ধুর অটোগ্রাফ আর উপহার পেয়েছিলো এরা, সেই বঙ্গবন্ধু যখন সাধারণের উর্ধ্বে উঠে গেলেন, হয়ে গেলেন বাঙালি অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক! - এই খবর যখন সেই নাপিত/ছাত্র-ছাত্রী/শ্রমিক দম্পতি জানতে পেরেছিলো, তাদের ঠিক কি অনুভূতি হয়েছিলো?
কারণ সেই নাপিত কে তিনি নিজের পরিচয় হিসেবে বলেছিলেন - "এমনি ঘুরে বেড়াই, দেশ বিদেশ দেখি।" আর মনে মনে ভাবছিলেন - "আমার আবার পরিচয়? পথে পথে ঘুরে বেড়াই, বক্তৃতা করে বেড়াই। আর মাঝে মাঝে সরকারের দয়ায় জেলখানায় পড়ে খোদা ও রসুলের নাম নেবার সুযোগ পাই। এই তো আমার পরিচয়।"


Title আমার দেখা নয়াচীন
Author বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
Publisher বাংলা একাডেমি
ISBN 9789840759880
Pages 200
Edition 1st Published, 2020
Country Bangladesh
Language Bangla

Durbarshop Author Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একজন আদর্শ দেশনেতা ও রাজনীতিবিদই নন, তাঁর ছিলো উল্লেখযোগ্য সাহিত্য প্রতিভা। বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে যিনি সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যার ফলে তাঁকে অভিহিত করা হয়ে থাকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে। মহান এই ব্যক্তির জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। তাঁর শৈশব কেটেছে গোপালগঞ্জেই, যার ফলে শিক্ষাজীবনের সূত্রপাতও সেখানে। ১৯৪২ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। স্কুল-কলেজের লেখাপড়া শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন, কিন্তু ছাত্র রাজনীতি ও বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে যাওয়ায় তিনি আর পড়ালেখা শেষ করতে পারেননি। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার্থে তিনি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যার ফলে সরকারের রোষানলে পড়েন। রাজনৈতিক কারণে তিনি দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। এমনকি স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর প্রারম্ভে তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে জেলে আটকে রাখা হয়। এরপর দেশ স্বাধীন হলে দেশে ফিরে এসে তিনি দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এতকিছুর পরও বঙ্গবন্ধু সাহিত্যকর্মে অংশ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই ২টি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই সমূহ মূলত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। 'কারাগারের রোজনামচা' ও 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' এই দুটি বই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই সমগ্র এর অন্তর্ভুক্ত। এই দুটি বই-ই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগে। বঙ্গবন্ধু নিজে তেমন বই রচনা না করলেও তাঁকে নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য বই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই এর মধ্যে শেখ হাসিনার লেখা 'শেখ মুজিব আমার পিতা', পীর হাবিবুর রহমানের 'পোয়েট অব পলিটিক্স', ফারুক চৌধুরীর 'স্মরণে বঙ্গবন্ধু', এম আর আখতার মুকুলের 'মুজিবের রক্ত লাল', শেখ শাহাদাতের 'বিপ্লবী নেতা শেখ মুজিব' ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা কতিপয় সেনাসদস্যের হাতে নিজ বাসভবনে সপরিবারে নিহত হন।


This is Review

Reviews and Ratings